রোগের কারনঃ ফিউজারিয়াম মোনিলিফরমি (Fusarium moniliforme) নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এ ছত্রাক জিবেরিলিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃস্বরণ করে যা গাছের দ্রুত অঙ্গজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাকানি আক্রমণের ফলে ফসলে শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে।রোগের বিস্তারঃবীজ বাকানি রোগের অন্যতম বাহক। মাটি, পানি, বাতাসের মাধ্যমেও এ রোগের জীবাণু এক জমি হতে অন্য জমিতে ছড়ায়। মাটিতে আগে থেকেই এ রোগের জীবাণু থাকলে ধান গাছে এ রোগ হয়। অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের প্রয়োগে এ রোগের আক্রামণ বাড়তে থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায়ও (৩০-৩৫০ সেলসিয়াস) এ রোগের আক্রমণ বেশী হয়।রোগের লক্ষণঃ
বাকানি রোগ ধান গাছের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে থোড় আসা পর্যন্ত যে কোন সময়ে হতে পারে। তবে চারা অবস্থায় হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে।
আক্রাস্ত ধানের চারা সাধারণ চারার চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
আক্রান্ত চারার পাতা হালকা সবুজ রঙের ও দুর্বল মনে হয়।
আক্রান্ত কুশি চিকন ওলিকলিকে হয়ে যায়।
কোন কোন সময় গাছের গোড়ার দিকে গিঁট হতে শিকড় বের হতে দেখা যায়।
গাছের গোড়া পঁচে যায় এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত গাছ শুকিয়ে মরে যায়।
চারা অবস্থায় বা রোপনের পরপরই এ রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত গাছে কোন ফলন হয় না।
তবে গর্ভাবস্থায় এ রোগ হলে চিটা এবং অপুষ্ট ধান বেশি হয় এবং শীষ অনেক ছোট হয়।
রোগের প্রতিকারঃ
রোগ সহনশীল ধানের জাত চাষ করতে হবে।
সুস্থ বীজের ব্যবহার করতে হবে।
খড়কুটা জমিতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
বীজতলা হতে চারা তোলার সময় রোগাক্রান্ত চারা বেছে ফেলে দিতে হবে।
আক্রান্ত গাছটি ফুল আসার আগেই তুলে ফেলতে হবে।
চারা রোপনের পর এ রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হবে।
সুষম মাত্রায় ইউরিয়া সার ব্যবহার করেও এ রোগের প্রকোপ কমানো যেতে পারে।
গোড়া পঁচা রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে জমির পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।
কার্বেনডাজিম (অটোস্টিন, নোইন, ইভাজিম) নামক ঔষধ এক লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করতে হবে।
রোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
রোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
রোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
ধান গবেষণার তথ্য মতে বাকানী রোগের আক্রমণ ফসলের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না। তবে আক্রমণ দেখা দিলে বিঘায় ৫ কেজি পটাশ ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে। আক্রান্ত অংশ সরানোর প্রয়োজন নেই।
উত্তর সমূহ
রোগের কারনঃ ফিউজারিয়াম মোনিলিফরমি (Fusarium moniliforme) নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এ ছত্রাক জিবেরিলিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃস্বরণ করে যা গাছের দ্রুত অঙ্গজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাকানি আক্রমণের ফলে ফসলে শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে।রোগের বিস্তারঃবীজ বাকানি রোগের অন্যতম বাহক। মাটি, পানি, বাতাসের মাধ্যমেও এ রোগের জীবাণু এক জমি হতে অন্য জমিতে ছড়ায়। মাটিতে আগে থেকেই এ রোগের জীবাণু থাকলে ধান গাছে এ রোগ হয়। অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের প্রয়োগে এ রোগের আক্রামণ বাড়তে থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায়ও (৩০-৩৫০ সেলসিয়াস) এ রোগের আক্রমণ বেশী হয়।রোগের লক্ষণঃ
- বাকানি রোগ ধান গাছের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে থোড় আসা পর্যন্ত যে কোন সময়ে হতে পারে। তবে চারা অবস্থায় হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে।
- আক্রাস্ত ধানের চারা সাধারণ চারার চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
- আক্রান্ত চারার পাতা হালকা সবুজ রঙের ও দুর্বল মনে হয়।
- আক্রান্ত কুশি চিকন ওলিকলিকে হয়ে যায়।
- কোন কোন সময় গাছের গোড়ার দিকে গিঁট হতে শিকড় বের হতে দেখা যায়।
- গাছের গোড়া পঁচে যায় এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত গাছ শুকিয়ে মরে যায়।
- চারা অবস্থায় বা রোপনের পরপরই এ রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত গাছে কোন ফলন হয় না।
- তবে গর্ভাবস্থায় এ রোগ হলে চিটা এবং অপুষ্ট ধান বেশি হয় এবং শীষ অনেক ছোট হয়।
রোগের প্রতিকারঃরোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
রোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
রোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : এটি একটি বীজবাহিত রোগ। এ রোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায় এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বীজ , চারাফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় , গোঁড়াব্যবস্থাপনা :বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখুন। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ফেলুন।পূর্ব-প্রস্তুতি :সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। কিছুটা প্রতিরোধ সম্পন্ন ধানের জাত যেমন-বিআর১৪, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪২, ব্রি ধান৪৪ ও ব্রি ধান৪৫ এর চাষ করা। বীজ শোধন করে বীজ বপন করুন।বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঅন্যান্য :আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করুন। একই জমি বীজতলার জন্য ব্যবহার না করা।তথ্যের উৎস :ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮।ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডার, ১২/০২/২০১৮।
ধান গবেষণার তথ্য মতে বাকানী রোগের আক্রমণ ফসলের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না। তবে আক্রমণ দেখা দিলে বিঘায় ৫ কেজি পটাশ ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে। আক্রান্ত অংশ সরানোর প্রয়োজন নেই।