১। গাছঃ গাছ কিছুটা লম্বা স্বভাবের এবং গড়ে ৩/৫ টি কান্ড থাকে। কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম, পাতা দুর্বল ঢেউ খোলানো এবং মধ্য শিরায় কোন এন্থোসায়ানিন নাই।
২। আলুঃ আলু গোলাকৃতি থেকে খাট ডিম্বাকৃতি ও মাধ্যম থেকে বড় আকারের। আলুর রং হালকা হলুদ, চামড়া মোটামুটি মসৃন। আলুর শাসের রং ক্রিম। চোখ মাঝারি গভীর।
৩। শুষ্ক পর্দাথঃ ১৯ ± ১%।
৪। অঙ্কুরঃ মাঝারি ওভোয়েড, গোড়ার দিক মাঝারি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক ঘন শক্ত লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারি।
৫। অঙ্কুরোদগমঃ সাধারণ তাপমাত্রায় ৪৫- ৪৮ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
৬। বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ এ জাতটি নাবি ধ্বসা রোগ প্রতিরোধী এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । চাষের সময় ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: উপযোগী এলাকা : সারা দেশে চাষের উপযোগী
বপনের সময় : উত্তরাঞ্চলে মধ্যে- কার্তিক (নভেমবর প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)।
মাড়াইয়ের সময়: বপনের পর থেকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে আলু উঠাতে হয়।
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর (৮-১০ টন), অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ওজিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অমস্নীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।